মালদা

শহর জুরে ভুয়ো চিকিৎসক, ঘনটার খবর পেয়ে ৩ ভুয়ো চিকিৎসককে গ্রেফতার করল পুলিশ

শহর জুড়ে ভুয়ো চিকিৎসক আর তাদের ব্যবসাও চলছিল রমরমিয়ে। সেই ভুয়ো চিকিৎসকদের হদিস পেলো পুলিশ প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকালে হানা দিয়ে তিন ভুয়ো চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।ধৃতদের নাম আমিনুল হক,সিদ্ধার্থ কর্মকার ও তন্ময় চাকি। তবে এদের চিকিৎসা কেন্দ্রে যে সমস্ত বোর্ড রয়েছে আর তাতে যা নাম রয়েছে বাস্তবে তা নয়। তাদের নাম নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। শহরের অভিজাত এলাকায় এই ভুয়ো চিকিৎসকেরা তাঁদের পসরা সাজিয়ে দিব্যি টাকা লুঠের ব্যবসা গুছিয়ে বসেছিলেন। কিন্তু পুলিশের অভিযানে এই ভুয়ো চিকিৎসকদের পর্দা ফাঁস হল। আমাদের ক্যামেরায় ভুয়ো চিকিৎসকদের  চিকিৎসা ফাঁদের তথ্য ধরা পড়ল। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের নজর এড়িয়ে ভুয়ো চিকিৎসকেরা এই ব্যবসা করেছিলেন বেশ কয়েকবছর ধরে।

            স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এলাকার বেশ কিছু রিক্সাচালক,টোটো চালকেরা এই সব ভুয়ো চিকিৎসকদের দরবারে দুর গ্রাম থেকে রুগীদের নিয়ে আসতেন। বিনিময়ে এই রিক্সাচালক, টোটো চালকেরা মোটা অঙ্কের কমিশন পেতেন। তাছাড়া শহরের বাসস্টান্ড, রেল স্টেশনে এই সব ভুয়ো চিকিৎসকদের এজেন্টও গ্রামের গরীব রুগীদের পাকড়াও করে এইসব ভুয়ো চিকিৎসকদের চেম্বারে নিয়ে যেত। আর মোটা টাকা লুঠ করত।

            বহু দিন ধরে এইসব ভুয়ো চিকিৎসকেরা শহরের বিভিন্ন নামী নাসিংহোমের নাম ভাঙিয়ে যেমন ব্যবসার ফাঁদ পেতেছিলেন ঠিক তেমনি সরকারী বা ভিন রাজ্যের বিভিন্ন নামী হাসপাতালে চিকিৎসক হিসাবে পরিচয় দিয়ে এই ব্যবসা করছিলেন। এদের কাছে চিকিৎসা করতে আসা বেশ কিছু রুগীর পরিবারের সন্দেহ হয় এইসব চিকিৎসকদের কান্ডে। চিকিৎসা করার জন্য তাদের কাছ থেকে প্রচুর টাকাও নেওয়া হত।

            এরপর এই ঘটনার খবর দেওয়া হয় ইংরেজবাজার থানার পুলিশকে। এরপরই পুলিশ হানা দিয়ে ভুয়ো চিকিৎসকদের গ্রেপ্তার করে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দিলীপ মন্ডল শহরের বাইরে রয়েছেন। তবে তিনি জানান শহর জুড়ে ভুয়ো চিকিৎসক রয়েছে। তাদের তালিকা তৈরী করে ব্যবস্থা নেবার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।তিনি জানান আইনে যা ব্যবস্থা রয়েছে সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে ভুয়ো চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে।